"গণতন্ত্রের ধারা : পি আর পদ্ধতির বিশ্লেষণ " [ দ্বিতীয় পর্ব :প্রাথমিক পর্যায়ে চালু হওয়া দেশগুলোতে পি আর পদ্ধতির ধরণ ] "রাজনীতি শুধু বুড়োদের কাজ নয়—তরুণের শক্তি পরিবর্তন করে দিতে পারে গণতন্ত্রের গতিপথ।” পাঠকের প্রশ্ন PR পদ্ধতি প্রথম কোথায় চালু হয়েছিল, এবং এর বিভিন্ন ধরন কি কি? ভূমিকা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) ভোট পদ্ধতি পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়। ভোটারদের প্রতিটি কণ্ঠ কার্যকর করার লক্ষ্য নিয়ে এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল। প্রথমে ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পি আর-এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। প্রথমে কয়েকটি দেশ এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে, এবং পরে এটি বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম কোন দেশগুলো চালু করেছিল PR? ১. বেলজিয়াম (১৮৯৯) বেলজিয়ামে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে PR পদ্ধতি চালু হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল: ভোট নষ্ট হওয়া কমানো ছোট দল ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শক্তিশালী কণ্ঠ দেওয়া রাজনৈতিক বহুমতের ভিত্তি তৈরি করা ২. নেদারল্যান্ডস নেদারল্যান্ডসে PR পদ্ধতি চালু হওয়ার পর দেখা যায় যে, ছোট দলগুলোও সংসদে আসনে অংশ পায়। ...
"গণতন্ত্রের ধারা : পি আর পদ্ধতির বিশ্লেষণ " [প্রথম পর্ব: পি আর পদ্ধতির ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক ধারায় এর প্রতিফলন ] "সবাই ভোট দেয়, কিন্তু কয়জনের কণ্ঠ পৌঁছায় সংসদে পাঠকের প্রশ্ন সবাই ভোট দেয়, কিন্তু কতজনের কণ্ সংসদে পৌঁছায়? ভূমিকা গণতন্ত্র হলো মানুষের সভ্যতার এক আলোকিত মাইলফলক। ভোটাধিকার কেবল একটি সাংবিধানিক অধিকার নয়; এটি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে জনগণের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করার সবচেয়ে সরাসরি উপায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সবাই ভোট দিলেও সব কণ্ঠ সমানভাবে সংসদে পৌঁছায় না। ছোট দল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠ প্রায়শই তেমন শোনা যায় না। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে জন্ম নিয়েছিল প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (Proportional Representation বা PR) পদ্ধতি—যা গণতান্ত্রিক চর্চার ইতিহাসে এক অভিনব ধারা। FPTP-এর সীমাবদ্ধতা ১৮শ ও ১৯শ শতকের ইউরোপে ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট (FPTP) পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী নির্বাচিত হতো। কিন্তু এতে দেখা যেত: ভোটের উল্লেখযোগ্য অংশ কার্যত নষ্ট হয়ে যেত। ছোট রাজনৈতিক দলগুলো সংসদে আসতে পারত না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায...
"গণতন্ত্রের ধারা : পি আর পদ্ধতির বিশ্লেষণ " [ তৃতীয় পর্ব : পি আর পদ্ধতির সফলতার গল্প ] তরুণের চিন্তা বদলাতে পারে গণতন্ত্রের গতিপথ। পাঠকের প্রশ্ন পি আর পদ্ধতি বাস্তবে কোথায় সবচেয়ে সফল হয়েছে? ছোট দল ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কণ্ঠ কিভাবে শক্তিশালী হয়েছে? ভূমিকা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) ভোটারদের প্রতিটি কণ্ঠকে কার্যকর করার একটি শক্তিশালী উপায়। শুধু তত্ত্ব নয়, বাস্তবে কিছু দেশ দেখিয়েছে যে এই পদ্ধতি গণতন্ত্রকে আরও ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল করে। এই পর্বে আমরা বিশ্বের চারটি দেশের উদাহরণ নেব: জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জার্মানি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে টেকসই করা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ছোট দলগুলোও সংসদে কণ্ঠ পেতে পারলে, ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব। MMP সিস্টেম ব্যবহার করে ভোটাররা দুটি ভোট দেয়: প্রার্থী ও দল ফলাফল: ছোট দলগুলো সংসদে আসতে পেরেছে উপকারিতা: রাজনৈতিক বহুমতের পরিবেশ তৈরি, ভোটাররা আরও সক্রিয় জার্মানির উদাহরণ দেখায় যে, PR পদ্ধতি শুধুমাত্র ন্যায...
Comments
Post a Comment