দ্বিতীয় পর্ব: প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ভূমিকা বাংলার ইতিহাস যেন এক দীর্ঘ নদীযাত্রা। কখনো এর স্রোত শান্ত ও স্নিগ্ধ, আবার কখনো তা হয়েছে তীব্র ও প্রলয়ঙ্কর। এই দীর্ঘ যাত্রায় প্রাচীন জনপদ থেকে শুরু করে আর্যদের আগমন, মौर্য ও গুপ্ত প্রভাব, পাল ও সেনদের উত্থান, সুলতানি শক্তির আবির্ভাব এবং অবশেষে মুঘল আমলে বাংলার পরিণতি—সবই যেন ইতিহাসের বিশাল ক্যানভাসে অঙ্কিত বর্ণিল চিত্রকর্ম। বাংলার জনপদ, ভাষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি প্রতিটি ধাপে নতুন রূপে সেজেছে, গড়ে তুলেছে নিজস্ব ঐতিহ্যের ভান্ডার। প্রাচীন জনপদ ও আর্য প্রভাব ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই বাংলার ভূখণ্ডে সভ্যতার স্ফুরণ ঘটে। গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র–মেঘনা নদীবিধৌত সমভূমি কৃষির জন্য ছিল অদ্বিতীয়। নব্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন থেকে স্পষ্ট হয়, এখানে গড়ে উঠেছিল বসতি ও কৃষিভিত্তিক সমাজ। ধীরে ধীরে এ ভূমি হয়ে ওঠে নানা জনপদের আবাসভূমি—অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুণ্ড্র, সমতট প্রভৃতি। আর্যদের আগমন এই জনপদগুলোকে নতুন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ধাঁচে রূপ দেয়। সংস্কৃত ভাষা ও বেদীয় ধর্মের প্রভাবে সমাজে বর্ণব্যবস্থার বিস্তার ঘটে। তবে আর্য প্রভাব বাংলায় কখনো এককভাবে শেকড় ...